January 11, 2025, 9:37 am

সংবাদ শিরোনাম
সেনাবাহিনীর অভিযানে নবীগঞ্জ থেকে দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নাটোরে ফেন্সিডিলসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জেলে শ্রমিক থেকে হয়ে উঠলেন কোটি টাকার দালান, ট্রলার মালিক জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি হামলা ও ভাংচুর হাজার মামুষের ভালবাসায় চির বিদায় গাজী মারুফ মধুপুরে তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সাঘাটায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণ, ঘটনা শুনে বাবার মৃত্যু বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে নতুন শর্তপণ্য বারো ধরনের আমদানিতে পরীক্ষণ করবে আর আই এম

দুটি লিগ চলে ভারতে, একটিই শেষ হয় না বাংলাদেশে

দুটি লিগ চলে ভারতে, একটিই শেষ হয় না বাংলাদেশে

ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক

 

গতকাল থেকেই প্রতিবেশী ভারতে শুরু হয়ে গেছে ২০১৭-১৮ মৌসুমের ফুটবল লিগ। বাংলাদেশের কী অবস্থা? সোজাসাপটা বললে, এখানে এখনো ২০১৬-১৭ মৌসুমের লিগই শেষ হয়নি!

বেশ কয়েক বছর ধরেই সেশনজটের কবলে পড়েছে দেশের পেশাদার লিগÑবাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সময়মতো খেলা মাঠে না গড়ানো, আবার লিগ শুরু হয়েও মাঝপথের লম্বা ‘ঘুম’;

এভাবেই চলে লিগ। চলতি বছর মে মাসে ফেডারেশন কাপের মধ্য দিয়ে ২০১৬-১৭ মৌসুমের খেলা মাঠে গড়িয়েছিল। এরপরে পেরিয়ে যাচ্ছে সাত মাসÑঘরোয়া মৌসুম এখনো চলছে।

যদিও এই সময়ে মৌসুম শেষ হওয়ার কথা নয়, কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, মৌসুম শেষ হবে কবে, সেটার কোনো নির্দিষ্ট পথচিত্র নেই কারও সামনে। উত্তরটা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) দিতে পারবে কি না সন্দেহ।

যেকোনো অছিলা পেলেই খেলা বন্ধ করতে ওস্তাদ বাফুফে। ফেডারেশন কাপের পর বিরতি। এরপর লিগ শুরু হওয়ার পরে আবার চারটি লম্বা বিরতি শেষে এখন পাঁচ নম্বর বিরতি চলছে।

দ্বিতীয় পর্বের শুরুর আগের চতুর্থ বিরতিটা ছিল প্রায় এক মাসের। এ যেন টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখতে বসে বিজ্ঞাপনের যন্ত্রণার মধ্যে পড়া। এটা আসলেই যন্ত্রণার। খেলোয়াড়, ক্লাব, দর্শক, পৃষ্ঠপোষক, সম্প্রচারকারীÑসবার জন্যই। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, ক্লাবগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য গুনছে খরচ, পৃষ্ঠপোষক বিরক্ত তাদের অর্থের সঠিক ব্যবহার না হওয়ার কারণে।

সম্প্রচারকারী সংস্থাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বারবার বিরতি দিতে দিতে। দর্শকেরও বিরক্ত, হারিয়ে যাওয়া ‘খেই’ ধরতে ধরতে। এ দেশের ঘরোয়া ফুটবল নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ কেন নেই, এটার মূল কারণ খুঁজে বের করতে খুব বেশি গবেষণাকর্মের প্রয়োজন নেই।

শেষ তিন বছরে ঘরোয়া লিগের একটা পরিসংখ্যান দেখা যাক।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হয়েছিল ২০১৪-১৫ প্রিমিয়ার লিগের আসর। এরপর দীর্ঘ দশ মাস পরে মাঠে গড়ায় ২০১৫-১৬ মৌসুমের লিগ। মাঝখানের বিরতিটা দশ মাসÑ ভাবা যায়!

এই লিগ শেষ হওয়ার প্রায় সাত মাস পরে শুরু হয়েছে ২০১৬-১৭ মৌসুমের লিগ। যেটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এখনো চলছে। এভাবে চলতে থাকলে এই লিগ কবে শেষ হবে, ভবিষ্যতের লিগও বা শুরু হবে কবে, সেটা নিয়ে বেদনার্ত রসিকতায় মাতেন অনেক ফুটবলারই।

বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এবারই অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিদেশে খেলতে যাওয়ায় বন্ধ ছিল লিগ। যুব দলের ব্যস্ততায় দেশের শীর্ষ আসর বন্ধ থাকাটা নজিরবিহীন।

অথচ প্রতিবেশী ভারতে পেশাদার আইলিগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগ আইএসএল। একসঙ্গে চলছে দুটি মেগা আসর। বাংলাদেশ একটা লিগ চালাতেই হিমশিম।

আগে ভারতের সঙ্গে সমানতালেই হাঁটত বাংলাদেশের ফুটবল। মাঠের পারফরমেন্সে তারা অনেক আগেই ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেটা কীভাবে ঘরোয়া ফুটবল আয়োজনের ধারাবাহিকতার হিসেবেই সেটি উঠে বোঝা যায়।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর